রাজগঞ্জ, ২৪ নভেম্বরঃ বিএলও’র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, বিডিওকে লিখিত অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যার। ঘটনায় চাঞ্চল্য রাজগঞ্জের আমবাড়িতে।
রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ি কামারভিটা এলাকায় এনুমারেশন ফর্ম বিতরণে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিযোগকারী বিজেপি নেত্রী তথা কামারভিটা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা শুক্লা রায় জানান, এলাকায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট প্রদান করার পরেও বেশ কয়েকজন ভোটারের কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছায়নি। যাদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ চলছে তারা অধিকাংশই বিজেপি সমর্থক বলে দাবি তার।এই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও রতন ধর একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন।বর্তমানে সে পদে না থাকলেও শাসক দলের নির্দেশেই বিজেপি কর্মীদের নাম বেছে বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।এরপরও যদি কোনও পদক্ষেপ না হয় তবে আন্দোলনের পথে নামবে বিজেপি বলে জানান তিনি।
বিএলও রতন ধর জানান, ইলেকশন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে কাজ করছি। ইচ্ছাকৃতভাবে কারও ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অভিযোগ যে কেউ করতেই পারে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও চরমে উঠেছে।বিজেপি নেতা নিতাই মন্ডলের অভিযোগ,বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের নাম বাদ দিচ্ছে বিএলও। শাসকদলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি তুষার দত্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন,
বিজেপির কোনও কাজ নেই। শুধু মিথ্যে অভিযোগ ছড়াতেই ব্যস্ত। বিজেপির চক্রান্তেই এই SIR নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ নানা সমস্যায় এবং আতঙ্কে ভুগছে। কিছুদিন আগে আমবাড়িতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই আতঙ্কে।
