রাজগঞ্জ, ২৮ অক্টোবরঃ বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের সাহায্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল এক শিশু।শুক্রবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের অফিসে গিয়ে তাকে কৃতজ্ঞতা জানালো শিশুটির পরিবার।
জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনেশ্বরী গ্রামের দিনমজুর দম্পতি রাজেশ রায় ও তার স্ত্রী টুম্পা রায়ের তিন বছরের সন্তান দুরারোগ্য রোগে ভুগছিল।উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও সুস্থ হচ্ছিল না।চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার আর্থিক ক্ষমতাও ছিল না।বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কোনো লাভ না হওয়ায় অবশেষে বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের শরণাপন্ন হন দম্পতি।এরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত।রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে শিশুটির জন্য শিশুসাথী প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়।সেই প্রকল্পে কলকাতার আর এন ট্যাগর হাসপাতলে চিকিৎসার করিয়ে শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
এদিন রাজেশ রায় বলেন, বড়বাবু ( সঞ্জয় দত্ত ) পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেই আমার ছেলের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়েছে।বড়বাবুর এই উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।তিনি ভগবান তুল্য।একইভাবে কৃতজ্ঞতা জানান রাজেশের স্ত্রী টুম্পাদেবী।
রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত বলেন, ওই গরিব দম্পতি সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না বলে আমার কাছে সাহায্যের আবেদন করেন।আমি রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে শিশুটির জন্য শিশুসাথী প্রকল্পের ব্যবস্থা করি।এরপর কলকাতার আর এন ট্যাগর হাসপাতলে চিকিৎসার পর শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।আগামীতে এভাবেই দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে চান বলে জানান সঞ্জয় দত্ত।