শিলিগুড়ি, ২৬ আগস্টঃ সেফ হাউস তৈরির সময়ে আন্দোলন। শেষমেষ বাধা বিপত্তি কাটিয়ে শিলিগুড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেফ হাউস শুরু হতেই বিস্তর অভিযোগ কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের।সেফ হাউসের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য শরদেন্দু চক্রবর্তীর(জয়)। পাল্টা করোনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে মামলা করা উচিত বলে জানান জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। বুধবার সকালে ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সামনে কিছু এলাকাবাসী ভিড় করেন। সেখানে ছিলেন শরদেন্দু চক্রবর্তীও। বলা যায় নেতৃত্বেই ছিলেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ।
এদিন শরদেন্দু চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, সেফ হাউসের আবর্জনা বাইরে প্লাস্টিকে রাখা হচ্ছে। সেই আবর্জনা সময়মতো সংগ্রহ করা হচ্ছেনা। শুধু তাই নয়, তিনি বলেন, রাতের বেলায় রোগীদের নিয়ে এসে গেটের সামনে ছেড়ে অ্যাম্বুলেন্স চলে যাচ্ছে। এরপর গেট খুলতে দেরী হওয়ায় রোগীরা এলাকায় ঘুরছে। তবে তার এই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন বলে দাবি রঞ্জন সরকারের। এই অভিযোগগুলি তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে জানান রঞ্জন বাবু। শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীতে থেকে এই কাজ করা অনৈতিক বলেও জানান তিনি।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুরনিগমের সঙ্গে এক কোম্পানির চুক্তিমতো তাদেরই সেই আর্বজনা সংগ্রহের দায়িত্ব। ফলে পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীতে থেকেও শরদেন্দু চক্রবর্তীর এই অভিযোগের পর তার সঙ্গে প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যদের সমন্বয় নেই বলেই দাবি সকলের। তবে এই আবর্জনা পরিষ্কারের দায়িত্ব কার সেই বিষয়টি জানা নেই বলেই জানান শরদেন্দু বাবু।