রাজগঞ্জ, ২৩ অক্টোবরঃ সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে ব্যবসা করার লাইসেন্স চাইছেন প্রাক্তন কেএলও নারায়ণ রায়।সরকারের তরফে সহযোগিতা না করা হলে ফের কেএলও’তে ফিরে যাওয়ার কথা ভাববেন।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পেদিপাড়ার নারায়ণ রায় ওরফে তরুণ থাপা প্রাক্তন কেএলও নেতা।বহুবছর জেল খাটার পর ২০১৭ সাল থেকে বাড়িতে রয়েছেন।বাড়িতে স্ত্রী ও দেড় বছরের এক মেয়ে, বৃদ্ধ বাবা-মা সহ ৯ সদস্যের সংসার।বাড়ির পাশে করলা নদী থেকে বালি ও মাটি তুলে সংসার চালাতেন।কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞায় সেই উপার্জনও বন্ধ।এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা করার লাইসেন্স চাইছেন নারায়ণ রায়।
নারায়ণ রায় বলেন, ২০১৭ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আর অন্ধকার জগতে ফিরে যায়নি।একটি ট্রাক্টর কিনে বাড়ির পাশে করলা নদীর মন্থনীঘটা থেকে বালি ও মাটির ব্যবস্যা শুরু করেন।কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞায় সে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক কষ্টে সংসার চলছে।এছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রায় ২২ টি মামলা রয়েছে।রাজ্য সরকার প্রাক্তন কেএলও নেতা এবং লিঙ্কম্যানদের হোমগার্ডের চাকরি দিলেও সেই চাকরি করতে রাজি নয়।বিলেতি মদের লাইসেন্স বা নদীর ঘাটের দাবি করলেও তা দেওয়া হয়নি।জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার অনুরোধ করা হলেও কর্ণপাত করছে না।সরকার যদি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে না দেখে নিরুপায় হয়ে ফের কেএলও -তে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতে হবে।