রাজগঞ্জ, ১ অক্টোবরঃ সম্প্রীতির পুজোতে মাতেন ফুলবাড়ির কালাঙ্গিনীর মহিলারা।স্বপ্না দাস, চিন্তামণি রায়ের সঙ্গে চাঁদা তোলেন রুকসানা পারভিন, মর্জিনা খাতুনরা।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা কালাঙ্গিনী গ্রামের দূর্গা পুজো এভাবেই হাতে হাত মিলিয়ে করে আসছেন হিন্দু–মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা।শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে এই পুজো হয়ে উঠেছে সম্প্রীতির অন্যতম নিদর্শন।
ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই গ্রামের সিংহভাগ মানুষই মুসলিম সম্প্রদায়ের।কয়েকটি পরিবার রয়েছে হিন্দু ধর্মের।তারাই কয়েকবছর ধরে গ্রামে দূর্গা পুজো করছেন।পুজোর দায়িত্ব সামলান মহিলারা।সম্প্রীতির এই পুজো এবছর ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করবে।প্রতিবছর প্রচুর মানুষ আসেন প্রত্যন্ত এই গ্রামের পুজো দেখতে।
ফুলবাড়ি–বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পার করলে সীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্পের পাশেই এই গ্রাম।পুজোর সময় সাম্প্রদায়িক কোনও ভেদাভেদ থাকে না এই গ্রামে।পুজোর সময় মুসলিম যুবরা নাচ–গানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।পুজোর দিনগুলো আনন্দের সঙ্গেই কাটান তারা।
রুকসানা পারভিন, মর্জিনা খাতুন বলেন, আমাদের গ্রামে জাতিগত ভেদাভেদ নেই।আমরা একসাথে চাঁদা তুলতে বের হই।পুজোর পাঁচদিন এখানেই থাকি।সবাই একসাথে মিলে পুজোয় পাঁচটি দিন আনন্দ করি।