গজলডোবায় সরকারি জমিতে রেস্তোরাঁ করার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা

গজলডোবা, ৫ জুলাইঃ সরকারি খাস জমিতে রেস্তোরাঁ করার অভিযোগে রাজগঞ্জের এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করলো ভোরের আলো থানার পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।বিজেপি নেতার নাম উত্তম রায়।বিজেপির রাজগঞ্জ উত্তর মন্ডলের প্রাক্তন সম্পাদক।তার বাড়ি মান্তাদারি গ্রাম পঞ্চায়েতের গজলডোবার সংলগ্ন মিলনপল্লী এলাকায়।গ্রেফতার বিজেপি নেতার স্ত্রী বিজেপি মহিলা মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদিকা।


জানা গিয়েছে, গজলডোবার কাছে মিলনপল্লী এলাকায় তিস্তা ক্যানালের পাশে উত্তম রায়ের একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।কয়েকবছর আগে প্রায় তিন বিঘা জমির উপর কয়েকটি পাকা রুম বিশিষ্ট রেস্তোরাঁ তৈরি করেন তিনি।তবে সেই রেস্তোরাঁ সরকারি জমির উপর তৈরি।এই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বিজেপি নেতাকে।

আজ ধৃত উত্তম রায়কে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়।আদালতে প্রবেশের পথে বিজেপি নেতা উত্তম রায় বলেন, আমি ৩৫ বছর থেকে সেখানে বসবাস করি।জমির পাট্টা রয়েছে।চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।


একই কথা বলেন বিজেপি নেতার স্ত্রী মায়ারানী দাস রায়।তিনি বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে আমাদের নামে ওই জমি রয়েছে।সেই নথি দেখতে না চেয়ে হঠাৎ করে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপি করি বলে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।অথচ কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় তৃণমূলের নেতার দখল করা জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।কিন্তু তাকে গ্রেফতার করেনি।এরকম অনেক তৃণমূল নেতার জমি রয়েছে ওই এলাকায়।সেব্যাপারে পুলিশ বা প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে আজ ওই রেস্তোরাঁটিকে ভেঙে ফেলতে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন এবং বিএলএলআরও সুখেন রায় আর্থ মুভার ও বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও অজ্ঞাতে কারণে না ভেঙেই ফিরে যান তারা।

এই বিষয়ে বিএলএলআরও সুখেন রায় বলেন, ওই পরিবারটি কিছু নথিপত্র ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ বিডিওর কাছে জমা দিয়েছে।ম্যাজিস্ট্রেট সেই নথি খতিয়ে দেখছেন।এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তবে পুলিশকে ওই জমির ব্যাপারে ভেরিফাই করতে বলেছিলাম, গ্রেফতার করতে বলিনি।গ্রেফতার কেনো করেছে তা পুলিশই বলতে পারবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

casibomdeneme bonusuMARSJOJO