রাজগঞ্জ, ৩০ জুলাইঃ ফের সারপ্রাইজ ভিজিটে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন।মঙ্গলবার একটি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় এবং দুটি স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি।স্কুল পরিদর্শন করে কয়েকজন শিক্ষক সময়মতো না আসায় তাদের শোকজ করবেন বলে জানান।এছাড়া একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিফর্ম মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে রয়েছে দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিডিও প্রশান্ত বর্মন।
জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পৌঁছান বিডিও। তবে সেসময় অফিসার এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম এবং সাধারণ মানুষেরকে পরিষেবা দেওয়ার বিষয় গুলি খোঁজখবর নেন।
এরপর ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সন্ন্যাসীকাটা হাইস্কুলে পৌঁছান প্রশান্ত বর্মন।সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন।সেইসময়ও স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা অনুপস্থিত। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিডিও।এরপর জটিয়াকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান তিনি।ওই স্কুলে গঠন-পাঠনের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার সময় লক্ষ্য করেন পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ স্কুল ইউনিফর্ম ঘরের মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।বিষয়টি তিনি ভালোভাবে নেননি।
এই ব্যাপারে বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় পরিদর্শন করে দেখলাম কাজকর্ম মোটামুটি ঠিকঠাক চলছে।তবে সন্ন্যাসীকাটা হাইস্কুলের কয়েকজন শিক্ষক সঠিক সময়ে আসেননি। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষককে অনুপস্থিত দেখলাম।বিষয়টি জেলাশাসককে জানাবো।অনুপস্থিত শিক্ষকদের শোকজ করা হবে।এছাড়া জটিয়াকালী জুনিয়র বেসিক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ ইউনিফর্ম মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।কেনো ইউনিফর্মগুলি বিতরণ করা হয়নি এবং অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছে? চিঠির মাধ্যমে তার কৈফিয়ৎ চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।