শিলিগুড়ি, ৪ জুলাইঃ দীর্ঘ ১৪ বছর পর এক যুবতীর হত্যার মামলার রায় দিল শিলিগুড়ি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট।
জানা গিয়েছে, গীতা পাটনায়ক দাস নামে এক যুবতীকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেমিক সুব্রত মাইতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল শিলিগুড়ি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রধাননগরের একটি হোটেলের বাথরুমে ওই যুবতীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।এই ঘটনায় ওই হোটেলের ম্যানেজার প্রফুল্ল বড়ুয়া প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।তদন্তে নেমে প্রায় ৪৪ জনের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ।এর পাশাপাশি চার্জসিট এবং যুবতীর ময়না তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী গর্ভবতী ছিল এবং গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
যুবতীর হত্যার মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী অমিতাভ মুখার্জি বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর আজ শিলিগুড়ি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতি ডঃ মৌমিতা ভট্টাচার্য চার্জসিট, যুবতীর ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং ৪৪ জনের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সুব্রত মাইতিকে গীতা পাটনায়ক দাসের হত্যার অভিযোগে আইপিসি ৩০২ এর আওতায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষনা করে।