শিলিগুড়ি, ৩১ ডিসেম্বরঃ শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর একে একে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে সমস্ত দল।জমে উঠেছে নির্বাচনী লড়াই।
মূলত এবারে শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচন লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে।নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রস্তুত হয়েছে উভয় দল।তবে নজরে রয়েছে শিলিগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ড।এই ওয়ার্ডে লড়াই এবার দুই ভাইয়ের মধ্যে।এক ভাই লড়বেন তৃণমূলের হয়ে আর এক ভাই লড়বেন বিজেপির হয়ে।বিজেপির তরফে কানাইয়া পাঠক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সঞ্জয় পাঠককে টিকিট দেওয়া হয়েছে।ভোটযুদ্ধে দুই ভাই একে অপরের প্রতিপক্ষ।সবমিলিয়ে এবারে জমজমাট হতে চলেছে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটযুদ্ধ।
উল্লেখ্য, সঞ্জয় পাঠকও একসময় বিজেপিতে ছিলেন।পরে কংগ্রেসে যোগ দেন।২০০৯ সালে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হন তিনি।২০০৯ থেকে ২০১৪ অবধি কংগ্রেসের কাউন্সিলর ছিলেন।পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগদান করেন।২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন।তবে সেসময় হেরে যান।ফের একবার সঞ্জয় পাঠককে ভরসা করে ১ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী কানাইয়া পাঠক কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ থেকে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।এরপর ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।বর্তমানে বিজেপির প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একজন।এবারে বিজেপির হয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডে লড়বেন।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সঞ্জয় পাঠক বলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।এখানে সবাই তার ভাই।তার মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে নয় আরএসপি প্রার্থীর সঙ্গে।
অন্যদিকে কানাইয়া পাঠক বলেন, এটা নির্বাচনী লড়াই।জনগণ কাকে বেছে নেবেন তা আগামীদিনই বলে দেবে।
এদিকে সঞ্জয় পাঠকের বড় ভাই তথা দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের নেতা রাজীব পাঠক বলেন, পার্টি এক জায়গায় এবং পারিবারিক সম্পর্ক আরেক জায়গায়।আমি কংগ্রেসকে সমর্থন করি।এবারে কে জিতবে, কে হারবে তা জনগণ ঠিক করবে।
তবে যাই হোক শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচনে দুই কাকাতো ভাইয়ের লড়াই দেখবে শহরবাসী।