শিলিগুড়ি, ১১ ফেব্রুয়ারিঃ শিলিগুড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলার। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দার পাড়া শিবরামপল্লী এলাকায়।তবে ঘটনা আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন?
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম আরতি কর্মকার।তার তিন সন্তান। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে ও বড় ছেলে আলাদা থাকেন। ছোট ছেলে উৎপল কর্মকারের সঙ্গে শিবরামপল্লী এলাকায় থাকতেন মহিলা।তার ছোট ছেলে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। ফলে ছেলে কাজে চলে যাওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকতেন আরতি দেবী। শনিবারও ছেলে কাজে বেরিয়ে যান।এরপর সন্ধ্যা নাগাদ হঠাৎই এলাকার বাসিন্দারা মহিলার চিৎকার শুনতে পেয়ে বেরিয়ে এসে দেখেন আরতি দেবীর বাড়িতে আগুন।প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করতেই দেখেন মহিলার শরীরে আগুন লেগেছে।
স্থানীয়রা কোনোভাবে আগুন নিভিয়ে তড়িঘড়ি মহিলাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভক্তিনগর থানার পুলিশ।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিন আরতি দেবীর ছোট ছেলে উৎপল বাবু জানান, প্রায় ৩-৪ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল মা।তার চিকিৎসাও চলছিল।কি কারণে এমন ঘটনা ঘটলো তা এখন স্পষ্ট নয়।