শিলিগুড়ি, ১ মার্চঃ প্রায় ৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল।এতবছর পরও পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অত্যাচার।আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ।শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জননগর কলোনির ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জননগর কলোনির বাসিন্দা সনাতন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় ফকদই বাড়ির বাসিন্দা রেখা দাসের।অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে গৃহবধূর ওপর বাড়তি পণের দাবি করে অত্যাচার শুরু করে স্বামী সনাতন দাস এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন।মাঝেমধ্যেই অশান্তির জেরে গৃহবধূ বাপের বাড়িতে থাকতো।তাদের দুই সন্তানও রয়েছে।মঙ্গলবারও পণ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হয়।এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় গৃহবধূ।
ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূকে তড়িঘড়ি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।এরপর থেকে পলাতক শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।এদিকে ঘটনার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতার মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা।অসহায় হয়ে পড়েছে মৃতার দুই সন্তান।
মৃতার পরিবারের দাবি, রেখাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।ঘটনার পর শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের আশিঘর ফাঁড়িতে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ।