শিলিগুড়ি, ৮ এপ্রিলঃ ম্যাট্রিমনি অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হলেন শিলিগুড়ির এক যুবতী।খোয়ালেন ৭ লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ৮ই মে শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক যুবতীর রক্তিম দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় ম্যাট্রিমনি অ্যাপে।দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়।ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।এরপরই শুরু হয় প্রতারণা।
অভিযোগ, যুবতীর সঙ্গে পরিচয়ের কয়েকমাস পরে যুবক তার বাবার অসুস্থতার নাম করে অনলাইন মারফত প্রথমে ৭ হাজার এবং পরে ১৭ হাজার টাকা নেয়।গত ডিসেম্বর মাসে যুবতীর আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ইমেল, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সহ বিভিন্ন তথ্য নেয় যুবক।এরপর যুবতীর তথ্য দিয়ে একটি ক্রেডিট কার্ড নেয় সে।সেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে রক্তিম দাস যুবতীর ব্যাঙ্ক থেকে ৭ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে।এদিকে এতসব হয়ে গেলেও টের পর্যন্ত পায়নি যুবতী।
এবছর এপ্রিল মাসে যুবতীর কাছে আইটি ফাইল চেয়ে বসে প্রতারক সেই যুবক।এরপরই সন্দেহ হয় যুবতীর এবং আইটি ফাইল দেবেন না বলে জানিয়ে দেয়।পরে যুবতী রক্তিম দাসের কাছে টাকা ফেরত চায়।এরপরই যুবক যুবতীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
ঘটনার পর যুবতী ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন তার নামে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৭ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছে যুবক।এই শুনে যুবতীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।যুবতীর নামে লোন নেওয়া সেই টাকা রাধাশ্যাম দাস নামে এক ব্যাক্তির অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে জানতে পারেন।
এই রাধাশ্যাম দাসই রক্তিম দাসের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে যুবতীর সঙ্গে প্রতারণা করে।ঘটনার পর গত ৬ এপ্রিল সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানা।
এই বিষয়ে যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ক্যামেরার সামনে যুবতী কিছু বলতে চাননি।