শিলিগুড়ি, ২৭ মার্চঃ শিলিগুড়িতে শিশু বিক্রি চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ(এসওজি) এবং মাটিগাড়া থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে চক্রের ৪ সদস্য।উদ্ধার হয়েছে ৭ দিনের নবজাতক শিশু।এই ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, নবজাতক শিশু বিক্রির চক্র চলছিল আইভিএফ সেন্টার থেকে।শিলিগুড়ি ও পাটনার আইভিএফ সেন্টারের কর্মীরা মিলেই এই চক্রের নেটওয়ার্ক তৈরি করে।আইভিএফ সেন্টারে আসা নিঃসন্তান দম্পতিদের ওপর নজর রাখতো কর্মীরা।এরপর সেইসব দম্পতিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নবজাতক শিশুর কথা বলতো তারা।সবকিছু ঠিকঠাক হলে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিক্রি করা হত নবজাতক শিশু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া শিশুটি গত ১৯ মার্চ পাটনার একটি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে।পাটনার সেই হাসপাতালের একটি নথীও প্রভা দেবীর কাছে পেয়েছে পুলিশ।যেখানে নবজাতক শিশুর মায়ের নাম লেখা রয়েছে।নূতন কুমারি নামে এক মহিলা পাটনার সেই হাসপাতাল থেকে নবজাতক শিশুটিকে শিলিগুড়িতে বীণা দেবীর কাছে পৌঁছে দেওয়া কথা বলে।সেইমত গত শনিবার প্রভা দেবী শিলিগুড়িতে পৌঁছায়।এরপরই এসওজি ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোটা ঘটনার পর্দাফাঁস করে।ঘটনায় গ্রেফতার হয় প্রভা দেবী, বিনা দেবী, গৌরি বাহাদুর ছেত্রী এবং প্রতিক দেবনাথ।
জানা গিয়েছে, নবজাতক শিশুটিকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি করার কথা ছিল।এই ঘটনায় উঠে এসেছে আরও এক ব্যক্তির নাম।অভিযুক্ত বীণা দেবী বিহারের অমিত কুমার নামে এক ব্যক্তিকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিল।এই ঘটনায় নূতন কুমারি এবং অমিত কুমারের খোঁজে ইতিমধ্যেই বিহারে পৌঁছেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিডি টিম।
এদিকে শিলিগুড়ির যে আইভিএফ সেন্টারে বীণা এবং গৌরি কাজ করতো সেখানেও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ।