শিলিগুড়ি, ২৯ মেঃ লকডাউনের আগে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন সরণীর বাসিন্দা এক দম্পতি। চিকিৎসা হলেও লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন সেখানে। সঞ্চয়ের টাকা প্রায় শেষ। এই অবস্থায় ট্রেন চালু হতেই শুক্রবার শিলিগুড়ি ফিরে আসেন। স্টেশনে, হাসপাতালে স্ক্রিনিং করান। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম কোয়ারান্টিনে থাকার কথা বলেন। কিন্তু পাড়ায় ঢোকা কী ঠিক হবে? এই ভেবে নিজেরাই হাজির হন এনজেপি থানায়। পুলিশও জানায় হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। সেইমতো দম্পতি সমস্ত ব্যাগপত্র নিয়ে বাড়ির সামনে আসেন। কিন্তু পাড়ায় ঢোকার আগেই হাজির হন এলাকার কিছু মানুষ। দম্পতি পাড়ায় হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে পারবেন না, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কিছু এলাকাবাসী। ঘটনার খবর পেয়ে এনজেপি থানার পুলিশ আসলেও পুলিশের সামনে রীতিমতো দাদাগিরি দেখিয়ে কিছু যুবক দম্পতিকে প্রায় ৩ ঘণ্টা রাস্তায় দাড় করিয়ে রাখেন। তাদের অভিযোগ, দম্পতি বাইরে থেকে এসেছে তাই হোম কোয়ারান্টিনেও থাকতে পারবেন না। পাড়ায় অনেক বৃদ্ধ মানুষ আছেন। প্রশ্ন ওই দম্পতি তো করোনা আক্রান্ত নন। তবে কেন এমন আচরণ এলাকাবাসীর। এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর গোলাপ রায় ঘটনাস্থলে এসেও সমস্যার সুরাহা করতে পারেননি। তার সামনেই কিছু যুবক চিৎকার জুড়ে দেন। জানান দম্পতি বাড়িতে ঢুকলে এলাকাবাসী রাস্তায় বসে পড়বে।
শেষমেষ প্রৌঢ় দম্পতি পুলিশের কাছে আবেদন জানান, বাড়িতে ঢুকতে না পারলেও আমাদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করুন। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা দম্পতির জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের তরফে। পরে ওই দম্পতিকে কোনও কোয়ারান্টিন সেন্টারে রাখার বন্দোবস্ত শুরু করে পুলিশ।
এই অপকর্ম লোকগুলোকে এখুনি আইপিসির উপযুক্ত ধারায় গ্রেফতার করা উচিত। অবশ্য এটাই আমাদের অনেক উদারপন্থীর আসল মুখ – সোসাল মিডিয়া বা রাজনীতির মাঠে আটকে পরা বাঙ্গালীদের ফিরিয়ে আনির জন্য কুমিরের অশ্রু বর্ষণ!
Ei sob lok der imiditate sasti howa uchit era osohai lok gulo der prblm e felchea proshason ke eta khb vlo vbea dkha uchit