শিলিগুড়ি, ১১ এপ্রিলঃ শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরাঙ্গপল্লী এলাকায় হাইকোর্টের নির্দেশে দখলমুক্ত করা হয় একটি জমি।এরফলে ঘরহীন হয় ৮টি পরিবার।খোয়া গিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার বই সহ বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।জেসিবি দিয়ে নিমেষের মধ্যেই ভেঙে দেওয়া হয় ২৫ -২৭ বছর আগে তৈরি করা বাড়ি গুলি।বাড়ি ভেঙে দেওয়া আটকাতে আটকও হয় অনেকে।সেইদিন থেকে নবজ্যোতি সংঘের ক্লাব ঘরে রাত কাটাচ্ছেন ঘরহীন পরিবারগুলি।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেঝেতে বিছানা করে ঘুমোচ্ছেন তারা।সকাল হতেই একই উনুনে চলছে রান্না খাওয়া।আবার অনেকেই নিজেদের ভাঙা ঘরের সামনে গিয়ে চোখের জল ফেলছেন।কিছু ছাত্র ছাত্রী যারা একাদশ শ্রেনীর পরীক্ষা দিচ্ছে।কারো পড়ার বই, প্রজেক্ট রয়েছে সেই ভাঙা ঘরের ভেতরে।যে কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার এলাকা পরিদর্শনে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।উচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি আশ্বাস দেন রাজ্য সরকারের তরফে প্রত্যেককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন উচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের কোনোরকম নোটিশ দেওয়া হয়নি।এবিষয়ে আমরা কোন কিছুই জানিনা।আচমকাই পুলিশ প্রশাসন আমাদের বাড়ির বাইরে বের করে দেয়।সেদিন রাতভর রাস্তায় কাটাতে হয় আমাদের।বর্তমানে থাকা খাওয়া-দাওয়া ক্লাবে হচ্ছে।
অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীরা জানায়, আমাদের সময় না দিয়ে এভাবে ঘর ভেঙে দেওয়া হল।বেশিরভাগ বই-খাতা ঘরের ভেতরেই থেকে গেছে।দুটো পরীক্ষা হয়েছে আরও কিছু পরীক্ষা বাকি রয়েছে কিন্তু প্রজেক্ট তো ঘরের ভেতরেই রয়েছে।সামনে পরীক্ষা থাকলেও পড়বো কোথায়! ঘরবাড়ি তো নেই।
এদিন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুন্না প্রসাদ বলেন, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে।তিনি বলেছেন সরকারি জমি দেখে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে।আমরা অতিদ্রুত সেই কাজ করার চেষ্টা করছি।
