শিলিগুড়ি, ২৬ মেঃ তিস্তা নদী ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় লালটং ও চমকডাঙ্গি গ্রাম।তিস্তাপল্লীতে পুনর্বাসিত হয়েছে সেই গ্রামের ১৩১টি পরিবার।আজ এলাকা পরিদর্শনে গেলেন মেয়র গৌতম দেব।
জানা গিয়েছে, গতবছর অক্টোবর মাসে তিস্তা নদীর ভাঙনে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালটং, চমকডাঙ্গি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।নদী ভাঙনে ঘরহারা হয়ে পড়েন বহু গ্রামবাসী।দ্রুত সেই গ্রামের বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজ্য সরকার।
১৩১টি পরিবারকে শিলিগুড়ির মাজুয়া বস্তিতে পুনর্বাসিত করা হয়।নতুন করে গড়ে ওঠা ওই এলাকার নাম ‘তিস্তাপল্লী’ রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।উত্তরবঙ্গ সফরে এসে নিজে ওই ১৩১টি পরিবারের হাতে পাট্টা তুলে দেন তিনি।পরিবারগুলিকে রাজ্য সরকারের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে স্থায়ীভাবে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়।আগামী মাসেই এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সোমবার মেয়র গৌতম দেব তিস্তাপল্লী গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন।
মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে খুশি তিস্তাপল্লীর বাসিন্দারা।তারা জানান, ঘরহারা হয়ে পড়লেও এখন নতুন জায়গায় নতুনভাবে জীবন শুরু করার সাহস পাচ্ছেন তারা।
