শিলিগুড়ি,৫ ডিসেম্বরঃ পুলিশ কর্মী পরিচয়ে প্রেম।কিন্তু হঠাৎ করে উধাও প্রেমিকা। খোঁজ নিতেই জানা গেল আদতেও প্রেমিকা পুলিশ নয়।শুধু তাই নয়। আগেও বিয়ে করেছেন। সন্তানও রয়েছে।
আর তা জানার পরই প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অসীম সরকার৷ শিলিগুড়ির জংশন ট্রাফিকে কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার অসীম। কিছুদিন আগে লক্ষ্মী রায় নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার।অভিযোগ,ওই মহিলা নিজেকে কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙা থানায় কর্মরত এক পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দেন।এমনকি পুলিশের ভুয়ো আইকার্ড বানিয়ে তা নিয়ে শিলিগুড়িতেও ঘুরে বেরাতেন ওই মহিলা।
অসীম সরকার জানান, প্রথমে নিজেকে পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দেন লক্ষ্মী রায়।এরপর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় এবং কিছুদিন পর তা প্রেমে পরিণত হয়।এরপরই লক্ষ্মী রায় অসীম বাবুর ওপরে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।কিন্তু তারপর থেকেই কিছুদিনের জন্য কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না লক্ষ্মী রায়ের।এরপরই লক্ষ্মীর বিষয়ে খোঁজ শুরু করেন অসীম।তারপরই অসীম জানতে পারেন যে লক্ষ্মী বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান রয়েছে। এরপরই লক্ষ্মী রায়ের বিরুদ্ধে প্রধাননগর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন অসীম সরকার। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারেন ওই মহিলা আসলে কোনও পুলিশ কর্মী নন।তার কাছ থেকে পুলিশের জাল আইকার্ডও উদ্ধার হয়।গতকাল রাতেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে প্রধাননগর থানার পুলিশ।আজ তাকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের দরুন লক্ষ্মী রায় পুলিশকে জানান যে,কোচবিহারে তার এক বন্ধু তাকে এই পুলিশের জাল আইকার্ডটি বানিয়ে দেয়।
অন্যদিকে এই বিষয়ে ওয়েস্ট জোন এসিপি চিন্ময় মিত্তল বলেন,পুলিশের জাল আইকার্ড নিয়ে ওই মহিলা শহরে ঘুরছিলেন।এছাড়াও ওই মহিলার বিরুদ্ধে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে।পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Je Bhutto take jutopeta korahok