রাজগঞ্জ, ১৫ ফেব্রুয়ারিঃ শনিবার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জুম্মাগছ এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে পালিত হল উরুস উৎসব।পীরবাবা আবুল রশিদের মাজারে এই উরশে দুই দেশের কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আব্দুল রশিদ নামে ওই মুসলীম ধর্মগুরু অনেক বছর আগে এপারে সন্যাসীকাটায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে মারা যান।তার ইচ্ছা অনুযায়ী দুই দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে তাকে সমাধিস্ত করা হয়। তখন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না।সেই সময় থেকে দুই দেশের মানুষ প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের বিশেষ দিনে যৌথভাবে উরুস উৎসব পালন করেন।পরবর্তীতে কাঁটাতারের বেড়া হলেও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অনুমতি নিয়ে প্রতিবছর দিনটি পালন করা হয়।এবছর আব্দুল রশিদের ৩১ তম উরুস উৎসব।
এদিন বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্তের গেট নিদ্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়। রাজগঞ্জ ব্লক ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর মানুষ মাজার শরিফে আসেন।তবে পরিচয়পত্র দেখে নিয়ে বেড়ার ওপারে যেতে দেওয়া হয়।অন্যদিকে, বাংলাদেশে থেকে প্রচুর মানুষ কড়া পাহাড়ায় আসেন।দুই বাংলা মিলে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।মাজার শরিফে ওই ধর্মগুরুর গুণকীর্তন ছাড়াও প্রার্থনা এবং মানত করেন।
এদিন রাজগঞ্জ ব্লকের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা রায়, মহকুমা শাসক রঞ্জন কুমার দাস, বিডিও এন সি শেরপা, ডিএসপি প্রদীপ সরকার, উরশ কমিটির সভাপতি আতিয়ার রহমান, মকসেদ আলম সহ বি এস এফ এবং বি জি বির আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।