শিলিগুড়ি,২৫ মেঃ বাড়িতে ঢুকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা। প্রায় ৮ ঘন্টা ধরে চলে অভিযান। অবস্থা এমন হয় যে মদের বোতলের সংখ্যা গুনতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় কর্মীদের। সাম্প্রতিক কালে উত্তরবঙ্গে একবারে এতো পরিমাণ ভেজাল মদ উদ্ধার হয়নি বলেই জানিয়েছে আবগারি দফতর।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলদিঘি এলাকায় ঘটনা।সেখানে একটি বাড়িতে কারখানা খুলে তৈরি হচ্ছিল ভেজাল মদ। আবগারি দফতরের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকার ভেজাল মদ সহ নানা সামগ্রী।
শুক্রবার আচমকাই ময়নাগুড়ি ব্লকের ওই ভেজাল মদের কারখানায় হানা দেন আবগারি দফতরের কর্তারা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শুক্রবার দুপুর নাগাদ জলপাইগুড়ি সদর আবগারি দফতরের কাছে গোপন সূত্রে ওই ভেজাল মদের কারখানার খবর আসে। খবর পেতেই শুরু হয়ে যায় অভিযান। রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলদিঘি এলাকায় নিরঞ্জন রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চলে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী অবৈধ মদের বোতল উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর ব্যারেল। পাশাপাশি হাতে আসে প্রচুর মদ তৈরির উপকরণও।
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ ঘন্টা ধরে চলে অভিযান। পরে বাজেয়াপ্ত হয় ৭ টি গাড়ি বোঝাই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম। আবগারি দপ্তরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার সুজিত দাস বলেন, সাম্প্রতিককালে এত বড় জাল মদ তৈরির কারখানা আমরা দেখিনি। প্রায় ৬ কোটি টাকার বিলিতি মদ উদ্ধার হয়েছে। এই জাতীয় মদ স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত হানিকারক। এইসব মদ সেবনে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে অভিযুক্ত পলাতক। আমরা তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি।