শিলিগুড়ি,১১ মার্চঃ সাধ করে সিনেমা দেখতে এসেছিলেন প্রতারকেরা।কিন্তু সেই সিনেমাই বিপদ হয়ে দাঁড়াল। দেড় কোটি টাকার প্রতারণা করে শিলিগুড়িতে ‘শয়তান’ সিনেমা দেখতে এসে ধরা পড়লেন অপরাধীরা।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি শপিংমলে এসে থিয়েটারে বসে জমিয়ে ‘শয়তান’ সিনেমা দেখছিলেন অপরাধীরা।কিন্তু সেই সিনেমা আর শেষ করা হল না তাদের।তার আগেই প্রতারণা কান্ডে অভিযুক্ত সাতজনকে ধরল মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।যদিও তদন্তের স্বার্থে এখনই ধৃতদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।।তবে এই প্রতারণা চক্রের মূল অভিযুক্তের নাম জানিয়েছে তারা।মূল মাস্টারমাইন্ড রেয়ান সাহা দাস কলকাতার বাসিন্দা।এছাড়াও বাকিরাও কলকাতারই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কলকাতার এক অবৈধ কল সেন্টারের মাধ্যমে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশে থাকা এক যুবতীকে ফোন করে তাঁর ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করা হয়।এরপর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়।৬ মার্চ বিষয়টি জানতে পারেন ওই যুবতীর বাবা।৭ মার্চ মুম্বাইয়ের সাউথ সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়।ঘটনার তদন্তে নেমে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা জানতে পারেন, কলকাতার একটি অবৈধ কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়েছে।এরপরই মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি টিম কলকাতায় পৌছায়।তবে সেখানে সেরকম কোনও তথ্য পায়নি তারা।
এদিকে প্রতারকরা কলকাতা থেকে গাঁ ঢাকা দিয়ে শিলিগুড়িতে এসে পৌছায়।এরপর শিলিগুড়িতেই অনলাইনের মাধ্যমে একটি শপিংমলে থাকা থিয়েটারে শয়তান মুভির টিকিট কাটেন তারা।তাদের এই একটা ভুলই পুলিশের সাহায্য করে।মাটিগাড়া থানার পুলিশ ও এসওজিকে নিয়ে রবিবার রাতে মাটিগাড়ার ওই শপিংমলে অভিযান চালায় মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।সিনেমা হল থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেড় কোটি টাকা প্রতারণার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।আজ ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়।এরপর তাদের নিয়ে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।