বাজি না পোড়ানোর আবেদন রাজ্যের, সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠনও

করোনা আবহে কালিপুজোতে বাজি না ফাটানোর আবেদন জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।ইতিমধ্যেই কালিপুজো ও দীপাবলি নিয়ে নবান্নে জরুরী বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে সকলেই এবছর বাজি না ফাটানোর আবেদন করে আসছিলেন।আতশবাজি করোনা রোগীদের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।চিকিৎসকেরা জানান, আতশবাজির ধোঁয়া করোনা রোগী সহ যারা হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও ক্ষতিকারক।এর কারণেই বাজি পোড়ানো থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন।


অন্যদিকে গতকাল শিলিগুড়ি পুরনিগমে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন শিলিগুড়ির প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য।এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে করোনা পরিস্থিতিতে বাজি, পটকা না ফাটানোর আবেদন জানান অশোক ভট্টাচার্য।

পাশাপাশি এবারও রাজ্যের পরিবেশকর্মীরা কালীপুজো-দিওয়ালি-ছটে সার্বিক ভাবে বাজি বন্ধের জন্যে হাইকোর্টে গেলেন।আপাতত কলকাতা হাইকোর্ট ও পরিবেশ আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য প্রশাসনও।


এদিকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন,এই বছর কোভিডের কারণে সংযত হয়ে পালন করতে হবে এই আলোর উৎসব। নিজেদের আনন্দ যেন অন্য কারো নিরানন্দের কারণ না হয়। এই বছর কোভিডের জন্য অনেকে হোম আইসোলেশনে আছেন অনেকে অসুস্থও রয়েছেন।সেখানে বাজির শব্দ ও ধোঁয়া তাদের আরও বিপদ বাড়াবে।  

পাশাপাশি মুখ্যসচিব আরও বলেন, দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোর মণ্ডপের চারপাশ যেন খোলা থাকে।সকলে মাস্ক ব্যবহার করুন।আর বিসর্জনে কোনও শোভাযাত্রা এবার করা যাবে না। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বিসর্জন করতে হবে।’দুর্গাপুজোর পর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়েনি। সেই ধারা বজায় রাখতে হবে কালীপুজো ও অন্যান্য উৎসবেও।

এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ এবং আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ স্মারক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা কমিটির পক্ষ থেকে বায়ুদূষণ রুখতে রাজ্যবাসীর কাছে দীপাবলি ও ছটপুজোয় বাজি না পোড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। ‘‌বাজি ধরব না’‌— এই স্লোগানকে সামনে রেখে তারা সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েছে।

(ছবি সৌজন্যে ইন্টারনেট)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *