শিলিগুড়ি,৭ মার্চঃ বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। হারিয়ে যাচ্ছে মহানন্দা নদী। বারবার অভিযোগ উঠলেও, দৃষ্টি আকর্ষণ করছে না প্রশাসনিক কর্তারা। উঠছে এমনই অভিযোগ। সরব হয়েছেন পরিবেশ প্রেমী সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা।
শিলিগুড়ির বুক চিরে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা নদী। সেই নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগে সরব বিভিন্ন মহল। তবে প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস দেখাননি কেউ। ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামরাঙাগুড়ি কালিমন্দির ঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ গাড়ি অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নদী থেকে বালি তোলার সরকারি কোনও নথি নেই। তবে কিভাবে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে, বালি তোলা হচ্ছে? এপ্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে, তৃণমূল সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ সামনে আসে। যদিও এবিষয়ে কেউ মুখ না খুললেও, স্থানীয় এক ব্যবসায়ি নূর আলি বলেন, ঐ নদী থেকে বালি তোলার সরকারি অনুমতি আমারই ছিলো। বিগতদিনে তা পুনঃনবীকরণ করতে গিয়েই বিপত্তি আসে। সরকারি প্রক্রিয়াকরণে কোনো সমস্যা থাকায়, টেন্ডার বাতিল হয়ে যায়। তার পর থেকে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা, গায়ের জোর দেখিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালি খনন করে চলেছে।
এবিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়েও, কোনও সমাধান হয়নি। এবিষয়ে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা করাতি বলেন, ঐ ঘাট থেকে বালি তোলা নিয়ে দলীয় কোন্দল আছে কিনা, সেবিষয়ে জানা নেই। তবে এমন অভিযোগ বারবার আসায়, জলপাইগুড়ি জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, ভূমি রাজস্ব দফতর, নিউ জলপাইগুড়ি থানা সহ মন্ত্রী গৌতম দেবকেও বিষয়টি দেখবার জন্য চিঠি করা হয়েছে।