নেশা করার পর বচসা তারপর বন্ধুকে খুন, ঘটনার কিনারা করলো পুলিশ

শিলিগুড়ি, ১৪ ডিসেম্বরঃ শিলিগুড়ি সংলগ্ন বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের রহস্যজনকভাবে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করলো পুলিশ।ঘটনায় গ্রেফতার যুবকের দুই বন্ধু।ধৃতদের নাম সুব্রত দাস(২২) এবং অজয় রায়(২৪)।


প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যায় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।এরপর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহের ভিত্তিতে মৃত যুবকের দুই বন্ধুকে আটক করেছিল পুলিশ।এরপর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গোটা ঘটনা সামনে আসে।এরপরই গতকাল রাতে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে মৃত রামপ্রসাদ সাহা বাড়ি থেকে বেরিয়ে নেশা করার জন্য বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে পৌঁছায়।সেখানে সুব্রতর সঙ্গে দেখা হয় রামপ্রসাদের।প্রথমে সুব্রত ও রামপ্রসাদ দুজনে মিলে নেশা করে।পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণে রামপ্রসাদ প্রায়শই পথচলতি মানুষের কাছে টাকা চাইত।সোমবারও নেশা করার পর সুব্রতের কাছে ১০-২০ টাকা চায় রামপ্রসাদ।এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়।সেইসময়ই রাগের বশে পাথর দিয়ে রামপ্রসাদকে বেশকয়েকবার আঘাত করে সুব্রত।এরফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।


ঘটনার পর নিজেকে বাঁচাতে রামপ্রসাদের মৃত্যুর খবর নিজেই পরিবারের সদস্যদের জানায় সুব্রত।এরপর নিজের মত করে গল্পও শোনায় পুলিশকে।তবে পুলিশ তা বিশ্বাস করেনি।এরপর সুব্রতের বয়ান অনুযায়ী অজয় রায় নামে মৃতের আরেক বন্ধুকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।এরপর দফায় দফায় কখনও দুজনকে একসঙ্গে কখনও আবার আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।এরপরই সুব্রতই যে রামপ্রসাদকে খুন করেছে এই সত্য সামনে আসে।   

পুলিশ সূত্রে খবর, শেষবারের মত রামপ্রসাদ সাহার সঙ্গে সুব্রত দাস এবং অজয় রায়কেই দেখা গিয়েছিল।সুব্রতই এই খুনের ঘটনা ঘটায়।তবে এই হত্যাকান্ডের পেছনে অজয় রায়ের কি ভূমিকা ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 আজ ধৃত দুজনকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে।গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *