রাজগঞ্জ, ৫ এপ্রিলঃ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু রুখতে বৈঠক করল বনদপ্তর।মঙ্গলবার রাজগঞ্জের বোদাগঞ্জে বনদপ্তরের গেস্ট হাউসে এই বৈঠক করা হয়।
বনবস্তি ও বনসংলগ্ন এলাকার কৃষক ও চা বাগান মালিকদের একাংশ বন্যপ্রাণীর হাত থেকে ফসল বাঁচাতে বিদ্যুৎবাহী তার বা ব্লেডতার দিয়ে ঘিরে রাখে।এতে বন্যপ্রাণী আহত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুও হয়।বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কয়েকটি হাতির মৃত্যুও হয়েছে।কয়েকদিন আগে গজলডোবা এলাকার টাকিমারি চরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে।এভাবে বন্যপ্রানীর মৃত্যু রুখতে বৈঠক করে বন সংলগ্ন এলাকার মানুষদের সচেতন করেন বনদপ্তরের আধিকারিকেরা।
এই বিষয়ে এপিসিসিএফ উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, জনবসতি গড়ে ওঠায় হাতি চলাচলের করিডোর হারিয়ে গিয়েছে।এছাড়া খাদ্যের সন্ধানে হাতি সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।কিন্তু বনবস্তি ও বনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ তাদের ফসল বাঁচাতে বিদ্যুৎবাহী তার দিয়ে ঘিরে রাখে।এরফলে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়।সেব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে যৌথ বন পরিচালন কমিটি ও বনবস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে শিবির করা হল।
এদিন উপস্থিত ছিলেন এপিসিসিএফ উজ্জ্বল ঘোষ, সিসিএফ সমীর গজমের, বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের ডিএফও হরিকৃষ্ণান, এডিএফও জয়ন্ত মন্ডল ও মঞ্জুলা তির্কি সহ শালুগাড়া, ডাবগ্রাম, আমবাড়ি ও বেলাকোবা রেঞ্জের আধিকারিকরা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুর্নিমা রায় ও বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিকেরা।