শিলিগুড়ি, ২৪ আগস্টঃ আইনি লড়াই শেষে জয় হল স্বামীর।ইতি পড়ল দীর্ঘ বছরের দাম্পত্য জীবনে।এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা, চিন্তায় মাথায় হাত চোখে জল সীমা চৌধুরীর।বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশপ্রিয় সরণিতে।
জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমর চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সীমা চৌধুরীর।আগেও বিয়ে হয়েছিল সমর চৌধুরীর।প্রথম পক্ষের এক সন্তান রয়েছে।২০০৪ সালে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হলে সীমা চৌধুরীকে বিয়ে করেন সমর চৌধুরী।রেলে কর্মরত ছিলেন।অভিযোগ,বিয়ের ছয় মাস পর থেকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার শুরু করে তার স্বামী।মাঝেমধ্যেই খেতে না দিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে বের করে দিত স্বামী।
এরমধ্যেই হঠাৎই পাঁচ বছর আগে আদলতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন সমর চৌধুরী।আর্থিক সামর্থ্য এবং সহযোগিতা না মেলায় আদলতে মামলায় হেরে যান সীমা চৌধুরী।এদিন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সীমার বাড়িতে থাকার শেষ দিন ছিল আজ।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে সীমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় ক্ষোভে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ের ১৬ বছর হয়ে গেলেও এক তরফা বিবাহ বিচ্ছেদ করেছে।কোনোরকম ভরণ পোষণ দেওয়া হয়নি।আমরা চাই সীমার যা প্রাপ্য তা যেন পায়।পারিবারিক সামর্থ্য না থাকায় আদালতে মামলা লড়তে পারেনি সে।
এদিন সীমা চৌধুরী বলেন,চক্রান্ত করে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়েছে।প্রত্যেক দিন অত্যাচার করতো।পরিচারিকার কাজ করে দিন কাটছিল।৭-৮দিন আগে আদলতের নির্দেশ আসে।আমি চাই আমার সারা জীবনের ভরণপোষণের দায়িত্ব খরচ আমাকে দেওয়া হোক।
অন্যদিকে সমর চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।