কোচবিহারে কর্মীসভা থেকে বিরোধীদের প্রতি কড়া সুর মমতা ব্যানার্জির

কোচবিহার,১৬ ডিসেম্বরঃ বাংলায় ভোটের ঢাকের কাঠি পড়ে গিয়েছে।বুধবার কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে কর্মীসভা সারলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমালোচনার পাশাপাশি তুলে ধরলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প এবং কোচবিহার সংক্রান্ত নানা উন্নয়নের কথা।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তার সরকার যা প্রতিশ্রুতি দেয়, তা পূরণ করে।বলেন, ‘অ্যাকাডেমি, কালচারাল বোর্ড,বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ সবকিছু করে দিয়েছি।কোচবিহারের মানুষের জন্য আর কিছু করার বাকি নেই।বিনা পয়সায় জুন মাস পর্যন্ত রেশন দিচ্ছি।আমাদের সরকার আবার ক্ষমতায় এলে আবার বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে।আইটিআই, পলিটেকনিক, কিষাণ বাজার কি হয়নি কোচবিহারে? মেয়েদের পড়াশোনা থেকে বিয়ে রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে।ইতিমধ্যেই ১ কোটি ১০ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে।সাড়ে ৯ লক্ষ্ ছাত্রছাত্রীকে অনলাইন পড়াশোনার জন্য ট্যাব দেওয়া হচ্ছে। পুরোহিত ভাতাও চালু করে দিয়েছি।শিবশক্তি মন্দিরের ভোগ ঘরের জন্য এক কোটি টাকা দিচ্ছি।তৃণমূল সরকার কখনো বিশ্বাসঘাতক হতে পারেনা,প্রতারণা করতে পারেনা,লাঞ্ছনা করতে পারেনা,কুকথা অসত্য কথা বলতে পারে না।যা বলব তাই করব।যা বলব না তা করব না’।

এরপরই ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, সিপিএম তুমি কোথায় ছিলে? শুধু সারাক্ষণ কুটুস কুটুস করে বেড়াচ্ছো।দিল্লীর বিজেপি সরকার শুধু মিথ্যে কথা বলে।লকডাউনের সময় দিল্লীর সরকার কি করেছে?এই বিজেপি সরকার যাদেরকে আপনারা ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাদের একটু মানবিকতা হলো না এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর।আমরা কোচবিহারে ৩২০ কোটি টাকা খরচ করে এয়ারপোর্ট তৈরি করে দিলাম। আর আপনাদের এমপি বাবু একদিন ফ্লাইট ভাড়া নিয়ে চলে এলো।জনগণের ফ্লাইট কোথায়?বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওরা বলছে বই কিনে দেবো ওষুধ কিনে দেবো। ওই পাপের টাকা নেবেন না।কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী দেবো আমরা,দালালি করবে ওরা।বিনা পয়সায় রেশন দেব আমরা,কৈফিয়ৎ চাইবে ওরা।কথায় কথায় চমকাবে আর ধমকাবে।সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়ল। বলা শুরু করে দিল ডিসেম্বর থেকে মারা হবে, ধরা হবে।পাড়ায় পাড়ায় আরএসএস ঢুকিয়ে দিয়েছে।এই আরএসএস কারা? বহিরাগত গুন্ডা।হিন্দুধর্ম শেখাচ্ছে।আমি আরএসএসের ভিন্ন হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস করিনা’।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *