শিলিগুড়ি, ২৪ মেঃ করোনা আশির্বাদ নাকি অভিশাপ।মানুষের জীবনে যা নেমে এসেছে চরম অভিশাপ হয়ে প্রকৃতির কাছে তাই হয়তো হয়ে উঠেছে আশির্বাদ।কথায় রয়েছে সব জিনিসেরই ভালো-খারাপ দুটো দিক রয়েছে।
একদিকে যেমন করোনায় রোজ শহরজুড়ে শয়ে শয়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, বাড়ছে মৃত্যুমিছিল তেমনই জনশূন্য শহরে যেন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে প্রকৃতি।করোনার যেমন বাড়বাড়ন্ত তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সরকারি নিষেধাজ্ঞাও।যা উপেক্ষা করে বাইরে বেরনো দায়।দোকান, বাজার নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ।অফিসে ঝুলছে তালা।অটো, গাড়ি চলাচল বন্ধ।বিনা প্রয়োজনে মোটর বাইকে করেও দাপানো যাবেনা শহর।তাই শহর এখন অনেকটাই দূষণমুক্ত।বায়ুদূষণের হারও অনেকটাই কমেছে।অন্তত পরিবেশপ্রেমীরা তো তাই মনে করছেন।
পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসু জানান শিলিগুড়ি শহরে কলকারখানা খুব একটা নেই, এখানে বায়ুদূষণের মূল উৎসই হল যানবাহন থেকে নির্গত ধোয়া।শহরের যানযট সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে।এই যানবাহনগুলোই এখন বন্ধ থাকার ফলে প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে আরও এক পরিবেশপ্রেমী দীপজ্যোতি চক্রবর্তী জানান, করোনা প্রকৃতির জন্য সত্যিই আশির্বাদ। বায়ুদূষণ তো কমেছেই, অনেক পাখীরাও আবার ফিরে এসেছে, নদীতে এখন মাছও বেশি।গাছের রঙেও অনেকটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।তবে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষ সাধারণ ছন্দে ফিরলে দূষণ আবার আগের পর্যায়ে ফিরবে কিনা তা নিয়ে তারা যথেষ্ট চিন্তিত।যদিও সাধারণ মানুষের কাছে তাদের আবেদন শহর করোনামুক্ত হলেও যানবাহনে যাতে রাশ টানা হয়।নাহলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি হতে পারে আরও ভয়ঙ্কর।