জলপাইগুড়ি, ১৮ জুলাইঃ সরকারি হাসপাতালে রেখেই ক্যান্সার রোগীকে কেমো দেওয়ার জন্য রোগীর পরিবারের কাছ থেকে ১৫০০০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ির ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী জাহেরা খাতুনের পরিবার।
জানা গিয়েছে, গত জুন মাসে জাহেরা খাতুনের ক্যান্সার ধরা পরে। এরপরই জেলা হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে বেসরকারিভাবে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসকই তার চিকিৎসা করছিলেন। এরপর তাকে কেমো দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসক। সেই সাথে তিনি বলেন নাসিংহোমে রেখে কেমো দিলে প্রচুর খরচ হবে।
এরপর হাসপাতালে রেখেই কেমো দেবার কথা জানানো হয়। ওই চিকিৎসক তার জন্য ১০ হাজার টাকা, এছাড়া তার পারিশ্রমিকের জন্য ৫ হাজার টাকা চান। কোনোভাবে টাকা জোগার করে চিকিৎসককে টাকা দেয় রোগীর পরিবার।
এরপরই রোগীর পরিবার জানতে পারেন সরকারি হাসপাতালে রেখে কেমো দিলে কোনো খরচ দিতে হয় না। ঘটনার পর পরিবারের তরফে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধের জেলা হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ রমেন্দ্রনাথ প্রামানিক বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের কাগজ এসে পৌছায়নি। এলে নিশ্চই বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে দেখা হবে।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত নির্মান কর্মী সংগঠনের নেতা মহম্মদ মৌনুলের বলেন, ওই চিকিৎসকের সাথে ফোনে কথা হয়। তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।