শিলিগুড়ি,১১ নভেম্বরঃ বেপরোয়াভাবে বাইক নিয়ে আসছিলেন। শুধু বলছিলেন দেখে গাড়ি চালাতে। তার বিনিময়ে শিলিগুড়ির এক শিক্ষককে চাকু মারা হল। শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এমন ঘটনায় রীতিমতো নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বারবার শহরের কিছু এলাকায় কয়েকজনের এমন দাদাগিরিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
কিছুদিন আগে শহরের একজন চিকিৎসককে মার খেতে হয়েছিল।কারণ তিনি বেপরোয়াভাবে টোটো চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন।পরে পুলিশ একজনকে গ্রেফতারও করে।কিন্তু এবার একজন প্রাইমারি স্কুলের টিচার ইন চার্জের মুখে ও পেটে চাকু চালানো হল।বৃহস্পতিবার রাতে বান্ধবীকে পাকুড়তলা মোড়ে বাড়িতে ছাড়তে যাচ্ছিলেন লেকটাউনের বাসিন্দা সৈকত সরকার।তিনি সমরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ।এদিকে এদিন রাতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইলাল দত্ত রোডে এক যুবক বেপরোয়াভাবে বাইক নিয়ে আসছিল।আরেকটু হলেই দুর্ঘটনা ঘটে যেত।সেসময় সৈকত সরকার চালককে বলে একটু দেখে বাইক চালাতে।এরপরই আরেকজন যুবককে নিয়ে আসে সে।বান্ধবীর সামনেই স্কুল শিক্ষকের পেটে ও মুখে চাকু চালানো হয়।হামলার পর দুই যুবক সেখান থেকে চলে যান।রাতেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ও পরে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় স্কুল শিক্ষককে।শুক্রবার নার্সিংহোমে শিক্ষকের মুখে সার্জারি হয়েছে।
শিক্ষক জানান, বেপরোয়াভাবে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করেছিলাম।তারপরেই আমার ওপরে চাকু নিয়ে হামলা চালানো হয়।
ইতিমধ্যেই পানিট্যাঙ্কি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন শিক্ষকের বাবা।অভিযোগে তিনি লিখেছেন, সুরজিত সাহা ও সৌম্যদিপ সাহা নামে দুই যুবক হামলা করে তাঁর ছেলের উপর।ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চর্তুবেদী।