রাজগঞ্জ, ৬ সেপ্টেম্বরঃ রাজগঞ্জের কালিনগর এলাকার ঐতিহাসিক মহারাজা দিঘীকে সৌন্দর্যায়ন করে সরকারি নজরদারির দাবি তুলল স্থানীয়রা।
প্রাচীন এই দিঘি কে কবে খনন করেছেন তা সঠিকভাবে কারও জানা না থাকলেও কমপক্ষে ১০০ বছরের পুরনো হবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।এই দিঘিকে ঘিরে নানা রূপকথা এলাকায় প্রচলিত আছে। এখনও এখানকার মানুষ বিশ্বাস করেন দিঘিটি জাগ্রত।প্রায় ৪০ বিঘা দিঘির চারদিকে ঘিরে রয়েছে প্রচুর গাছ।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় গাছের কোন পাতা জলে পড়ে না।সারা বছরই দিঘির জল পরিষ্কার থাকে।দিঘিতে আগাছা জন্মায় না।দূরদূরান্ত থেকে অনেকে এই দিঘিতে মাছ ধরতে এলেও স্থানীয় বাসিন্দারা এই দিঘির মাছ খান না। এই দিঘিতে স্নান করলে কেউ সাবান ব্যবহার করেন না।
জানা গিয়েছে, এই দিঘির একসময রক্ষণাবেক্ষণ করতেন রাজগঞ্জের বাসিন্দা সন্তোষ কুমার ঝা।তিনি প্রয়াত হয়েছেন।প্রয়াত সন্তোষ কুমার ঝা এর ছেলে ধ্রুব কুমার ঝা বলেন, আমরা কোনদিন জানতে পারেনি দীঘিটি কে খনন করেছিলেন।কোন এক মহারাজা করেছিলেন বলেই তার নাম থেকেই মহারাজার দিঘি হয়েছে।প্রতিবছর বৈশাখ মাসে দিঘিতে পুজো হয়।৩ দিন পুজো উপলক্ষে মেলা বসে।প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এই মেলায়।
এলাকার বাসিন্দা রামকুমার মেহতা বলেন, এখানার মন্দির জাগ্রত।জাগ্রত এই মন্দিরে মানুষ মানত করলে তা পূরণ হয়।এর আগে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিঘির সংস্কার, সাজানো এবং অন্যান্য নজরদারির দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
রাজগঞ্জের বিডিও এন সি শেরপা বলেন, রাজগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক দিঘি হল মহারাজার দিঘি। আমরা চাইছি একে আকর্ষণীয় করে তুলতে। সরকারি উদ্যোগে গ্রীন পিকনিক স্পট করা যায় কিনা ভাবা হচ্ছে।