রাজগঞ্জ, ৩ সেপ্টেম্বরঃ রাজগঞ্জের জটিয়াকালীতে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন এবং বোম্বে ন্যাচরাল হিস্ট্রি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে পালিত হল আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস।শনিবার জটিয়াকালীতে একটি সচেতনতামূলক র্যালি এবং শিবির করা হয়।
ন্যাফের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, শকুন প্রায় বিলুপ্তির পথে।এদেরকে বাঁচাতেই হবে।শকুন সংরক্ষণে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি শকুনের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান করতে পারলে আগের মতো সংখ্যা বৃদ্ধি হতে পারে। জটিয়াকালীতে ব্যক্তিগত মালিকানার একটি ভাগাড় রয়েছে।সেখানে মৃত গোরুর দেহ ফেলা হয়।সেখানে হোয়াইটরাম ভালচার, সিনেরাজ ভালচার, হিমালয়ান ভালচার প্রজাতির বেশকিছু শকুন আসে।কিন্তু কোনও গাছপালা না থাকায় এলাকার উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎবাহি তারের সংস্পর্শে এসে গত দুবছরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কয়েকটি শকুনের মৃত্যু হয়েছে।তাই ভাগাড়টিকে শকুনের জন্য উপযুক্ত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।তাদের এই উদ্যোগে বনদপ্তর, রাজাভাতখাওয়া কৃত্রিম শকুন প্রজনন কেন্দ্র ও স্থানীয় প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ, রাজাভাতখাওয়া কৃত্রিম শকুন প্রজনন কেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জ সৌম্যসুন্দর চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।