মর্নিং ওয়াক করে ফিরে আসেন, কয়েক ঘণ্টা পর ফ্ল্যাটে উদ্ধার দম্পতির মৃতদেহ

শিলিগুড়ি, ১ অক্টোবরঃ মর্নিং ওয়াকেও গিয়েছিলেন। সংবাদপত্র নিয়ে ফ্ল্যাটেও ঢোকেন। কয়েকঘণ্টা পর বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দম্পতির মৃতদেহ। প্রৌঢ়ার এর দেহ ছিল বিছানায়। সারা শরীর চাদর দিয়ে ঢাকা। প্রৌঢ় ছিলেন সোফায়। মুখ দিয়ে বের হচ্ছিল গ্যাজলা। শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা পাড়া এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টের ঘটনা।


গত ১৪ বছর সেখানে স্ত্রী রীতা দে এর সঙ্গে থাকতেন অবসরপ্রাপ্ত দমকল কর্মী গৌরচন্দ্র দে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে ইসলামপুরে। মাঝমধ্যেই মেয়ের আসা যাওয়া ছিল শিলিগুড়িতে। রোজ ফোনে কথাও হতো। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে মোবাইলে ফোনও করেন। কিন্তু ফোন না ধরায় সন্দেহ হয়। বিষয়টি জানান প্রতিবেশীদের। এরপর আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। দুপুরে খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে দরজার লক ভেঙে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। এদিন অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানান, আগে দুজনই মর্নিং ওয়াকে যেতেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে রীতা দেবী আর যেতেন না। বৃহস্পতিবার সকালে মর্নিং ওয়াকে যান গৌরবাবু। সংবাদপত্র নিয়ে ঘরে ঢোকেন। তারপর আর তাঁকে কেউ বের হতে দেখেন নি।

কীভাবে মৃত্যু হল দু’জনের? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দম্পতি নানা রোগে ভুগছিলেন। পুলিশের অনুমান এদিন সকালে গৌরবাবু ফ্ল্যাটে ফিরে স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর স্ত্রীয়ের মৃত্যুর শোকে নিজে কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। যদিও সবটাই অনুমান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই দুজনের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
প্রতিবেশী শিখা ঘোষ বলেন, রীতা দেবীর দেহ কাপড়ে ঢাকা ছিল। পাশে কোলবালিশ দিয়ে সাজানো ছিল। কিন্তু সোফায় পড়েছিলেন গৌরচন্দ্র দে। আগামীকাল দুটি দেহের ময়নাতদন্ত হবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *