বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের ডাকে সারা ভারত ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়েছে গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে।দার্জিলিং,জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার,কোচবিহার,উত্তর দিনাজপুর,দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলায় বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে।
নকশালবাড়ি স্টেশনে কাঠিহার-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আটকে বিক্ষোভ দেখায় বনধ সমর্থনকারীরা।প্রায় ১৫ মিনিট ট্রেনটিকে আটকে রাখা হয়।যদিও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কোচবিহারে এদিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।রাস্তা দিয়ে সরকারি বাস চলাচল করলেও দেখা মেলেনি বেসরকারি গাড়িগুলির।অন্যদিকে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এনবিএসটিসির চালকেরা হেলমেট পড়ে বাস চালান।এদিকে বনধের সমর্থনে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের তরফে মিছিল বের করা হলে সেই মিছিলকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।বনধ সমর্থনকারীরা সরকারী বাস আটকে যাত্রীদের নামিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।যদিও পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।পাশাপাশি কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।
এদিকে বানারহাট ও কেরন স্টেশনে রেল লাইনের উপরে বসে বিক্ষোভ দেখায় বনধ সমর্থনকারীরা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বিশাল পুলিশবাহিনী।
ধুপগুড়িতে জোরপূর্বক আটকানো হয় সরকারি বাস।বাস আটকে যাত্রীদের নামিয়ে বিক্ষোভ বনধ সমর্থকদের।পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার জেলায় বনধের মিশ্র প্রভাব।সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে বেসরকারি বাস।সরকারি বাস চলছে প্রতিদিনের মতোই।তবে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।এছাড়াও জেলার চা বলয়ে বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে।কিছু কিছু বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগদান দেয়নি।যদিও সিমান্তবর্তী শহর জয়ঁগাতে বনধের প্রভাব ছিল না বললেই চলে।ভুটান গেট খোলা ছিল এদিন।
যদিও বনধ ঘিরে ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদার কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকায়।রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখায় সমর্থকরা।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ও রায়গঞ্জে বনধের সমর্থনে মিছিল বের করে বাম ও কংগ্রেস নেতা কর্মীরা।ইসলামপুরের চৌরঙ্গী মোড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বাম নেতা কর্মীরা।এছাড়াও সকাল থেকেই বাজারঘাট,ব্যাঙ্ক,পেট্রোল পাম্প বন্ধ ছিল।অন্যদিকে রায়গঞ্জে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় কয়েকজন এসইউসিআই কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সরকারী বাস চলাচল করলেও বেসরকারি গাড়ির সংখ্যা খুবই কম ছিল।দোকানপাটও বন্ধ ছিল।