শিলিগুড়ি, ৭ মেঃ পিসততো দাদার বিয়েতে জলপাইগুড়ি জেলার দোহমনিতে গিয়েছিল শিলিগুড়ির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদিশা দাস।তবে আর ফেরা হল না।বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে পিকনিকে গিয়ে তিস্তা নদীতে সেলফি তুলতেই ঘটে বিপত্তি।আজ বাড়ি ফিরল বিদিশার নিথর দেহ।
জানা গিয়েছে,ইচ্ছে ছিল পুলিশ হওয়ার।পরীক্ষায় পাশও করেছিল করেছিল বিদিশা।চলতি মাসের ৩ তারিখ জলপাইগুড়ি জেলার দোমহনীতে দাদার বিয়েতে গিয়েছিল।বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার তিস্তা নদীতে ভাই বোনদের সঙ্গে পিকনিক করতে যায় বিদিশা।সেইসময় জলে নেমে সেলফি তুলতে গিয়ে পা পিছলে নদীতে পরে যায় সে।তাকে বাঁচাতে নদীতে নামে ভাইয়েরা।তবে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিভিল ডিফেন্সের দল ও ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।তবে অন্ধকার হয়ে যাওয়ার গতকাল উদ্ধারকাজ করতে পারেনি প্রশাসন।এরপর শনিবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।আজ বিকেলে শিলিগুড়িতে তার নিথর দেহ পৌছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার।এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্পা নন্দী।কাউন্সিলর শম্পা নন্দী ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন।পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
বিদিশার আত্মীয়রা জানান, বিদিশার পুলিশ হওয়ার ইচ্ছে ছিল।ইতিমধ্যেই পরীক্ষাও দিয়েছিল।জলে নেমে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছে।জলের স্রোত বেশি থাকায় ডুবুরিরা রাতে নামতে পারেনি।সকালে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।