শিলিগুড়ি, ১৮ মেঃ একদিকে যখন বিভিন্ন মানবিক কাজ করে প্রশংসিত হচ্ছে শিলিগুড়ি মেট্রপলিটন পুলিশ। তখনই কিছু পুলিশ কর্মী কিংবা পুলিশ বিভাগের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের কিছু কাজ রীতিমতো প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে পুরো পুলিশ বিভাগকে।
বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ি শহরে এমনই একটি ঘটনায় রীতিমতো পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। এদিন শিলিগুড়ি আদালতে নামিয়ে আসামিদের গাড়ি ফিরছিল। এয়ারভিউ মোড়ের কিছুটা আগে গাড়িটির সঙ্গে একটি টোটোর ধাক্কা লাগে। অভিযোগ এরপরই গাড়ি থেকে নেমে আসেন চালক। টোটো চালককে লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি চালকের জামার কলার ধরে তাঁকে আসামির গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা হয়। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দী হতেই পুলিশের গাড়ির চালক গালিগালাজ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও ঘটনার প্রতিবাদ শুরু করতেই তখন তড়িঘড়ি গাড়ি নিয়ে চলে যান চালক।
টোটো চালক শম্ভু সরকার জানান, লাঠি দিয়ে আমাকে মারা হয়েছে। গাড়িতেও ওঠানোর চেষ্টা করা হয়।
প্রশ্ন এখানেই। যেখানে থানা আছে, আইন আছে। সেখানে সামান্য গাড়িতে ধাক্কা লাগতেই টোটো চালককে এভাবে কেন মারধর কিংবা হেনস্থা করা হল? শুধুমাত্র কী পুলিশের গাড়ির চালক বলেই পার পেয়ে যাবে? সেই প্রশ্নই তুলছেন অনেকে।