রাজগঞ্জ, ২৫মেঃ উচ্চমাধ্যমিকে টোটো চালকের মেয়ে মুক্তা পারভিনের নজরকারা সাফল্য, তার প্রাপ্ত মোট নম্বর ৪১১। আগামীতে ইংরেজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে কলেজের প্রফেসার হতে চায় মুক্তা তবে বাঁধ সাধছে আর্থিক সমস্যা। এই অবস্থায় কোনো সরকারি সাহায্য অথবা সমাজসেবী সংস্থার সাহায্য পেলেই পূরণ হবে স্বপ্ন।
রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মুক্তা পারভিন, সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম বালাবাড়ি এলাকায় তার বাড়ি। বাবা ফজলুল করিম পেশায় টোটো চালক। টোটো চালিয়েই ৫ জনের সংসার চালান, অনেক কষ্টে মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে আসছেন।
মুক্তা জানায়, ভালো নাম্বার নিয়ে পাশ করে খুব ভালো লাগছে। ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করে আগামীতে কলেজের প্রফেসার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। বাবা অনেক কষ্ট করে কাজ করে পড়াশোনা করাচ্ছেন এবং সংসার চালাচ্ছেন। সরকারি ভাবে সাহায্য পেলে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে।
মুক্তার বাবা ফজলুল করিম বলেন, মেয়ের এই রেজাল্টে ভীষণ ভালো লাগছে। আমি টোটো চালিয়ে যা আয় করি তা দিয়েই ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা ও সংসার চালাই। মেয়ের ইচ্ছে কলেজের প্রফেসার হওয়ার। যদি সরকার বা কোনো সমাজসেবী সংস্থা সাহায্য করে তাহলে অনেক সুবিধা হয়৷