শিলিগুড়ি, ২০ মেঃ নগর জীবিকা কেন্দ্র যার মাধ্যমে এক ফোনেই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি,গাড়িচালক,আইন উপদেষ্টা,রংমিস্ত্রি,রাজমিস্ত্রি,জলের কলের মিস্ত্রি, গৃহশিক্ষক সহ একাধিক পরিষেবা মেলার কথা।সেই কেন্দ্রে দীর্ঘদিন থেকে মিলছে না পরিষেবা।এমনটাই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে।প্রশ্ন উঠছে নগর জীবিকা কেন্দ্রের কার্যকারিতা নিয়েও।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকঢোল পিটিয়ে নগরজীবিকা কেন্দ্রের পথ চলা শুরু হয়।অভিযোগ ওঠে ঠিকমত প্রচার না হওয়ায় আমজনতা নগরজীবিকা কেন্দ্রের কার্যকারিতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন।পরবর্তী সময় বছরখানেক এই কেন্দ্র পরিষবা দিলেও ২০২০ সালের মার্চে মাসে লকডাউনের সময় নগরজীবিকা কেন্দ্রের দরজায় তালা পড়ে।পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও খোলেনি নগর জীবিকা কেন্দ্র।
এই বিষয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের একটাই জীবিকা খোলা আছে তৃণমূল জীবিকা, সেখানে যত দুর্নীতি করে অর্থ রোজগার করা যায় তার বিভিন্ন পদ্ধতি শেখানো যায়।ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এখন পুরোপুরি পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে এই বিষয়ে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, নগর জীবিকা কেন্দ্র বাম বোর্ড শুধু লোক দেখানোর জন্য বানিয়েছে যার মাসুল আমদের গুনতে হচ্ছে।আমরা নতুনভাবে সবটা শুরু করছি।কুমারটুলিতে ছেলে মেয়েদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।ইন্ডোর স্টেডিয়াম কোনদিনও সাফল্যমন্ডির ছিল না।সেই অপরিকল্পিত স্টেডিয়াম নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এর সাথে কথা হয়ে।কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম, ইন্ডোর স্টেডিয়াম নতুনভাবে শিলিগুড়ির মানুষকে তুলে দেবো।
পাশাপাশি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরদিন্দু চক্রবর্তী বলেন, এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয় শিলিগুড়ি পুরনিগমের সমস্ত মানুষের এটা একটা চাহিদা।বর্তমানে যেহেতু এখানে সেফ হাউজ চালু নেই।তাই নগর জীবিকা কেন্দ্র, বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং সেন্টার, ইনডোর গেম চালু করা উচিত।