ছয় মাস ধরে শয‍্যাশায়ী নকশালবাড়ির মহম্মদ রুস্তম, দেখা করলেন মেয়র গৌতম দেব

নকশালবাড়ি, ১২ এপ্রিলঃ কোমড়ে পড়েছিল চালের বস্তা।সেই থেকে শয‍্যাশায়ী নকশালবাড়ির দক্ষিণ রথখোলার বাসিন্দা মহম্মদ রুস্তম।


জানা গিয়েছে, গত ছয় মাসে আগে নকশালবাড়ির একটি চালের আড়তে কাজ করার সময় ২০-২৫টি চালের বস্তা শরীরে পড়ে যায়।এরপর থেকে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।নকশালবাড়ি হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রেফার করা হলেও আর্থিক অনটনের জেরে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি।বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও ছেলে আব্দুল মজিদ।

আর্থিক অনটনের জেরে প্লাস্টিকের ঘরেই জীবনযাপন করার খবর পেয়ে এদিন মহম্মদ রুস্তমকে দেখতে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।এদিন চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।


স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভ‍্যান চালকের কাজ করার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।কোমড়ের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে পা অকেজো হয়ে গিয়েছে।উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পেলে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি।সকলকেই এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

মহম্মদ রুস্তম জানান,  চাল ওঠানোর সময় চালের বস্তা শরীরে পড়ে যায়।২৫-৩০টি বস্তার ভেতরে আটকে থাকার পর কোনোক্রমে আমাকে বের করা হয়।হাসপাতালে ভর্তি হ‌ওয়ার ৭দিন কেটে গেলেও দোকানের মালিক সহযোগিতা করেননি।হাতে টাকা পয়সা নেই, কিভাবে চিকিৎসা করব জানি না।সুস্থ হয়ে ফের সমাজে ফিরতে চাই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *