চাকরির দাবীতে ১৯ জানুয়ারি অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রাক্তন কেএলও সদস্যদের  

জলপাইগুড়ি, ১৮ জানুয়ারিঃ জেলা পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরও নিজেদের বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসুচী থেকে পিছু হটছে না কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (কেএলও)প্রাক্তন সদস্য এবং লিঙ্ক ম্যানেরা।


২০০৩-০৪ সালে ভুটানে সেনাবাহিনীর অপারেশন অলক্লীয়ার ও অপারেশন ফ্ল্যাশ আউটের পর একে একে অনেক প্রথম সারির কেএলও জঙ্গী ধরা পড়ে।অনেকে আত্মসমর্পণ করেন।কিন্তু বাম আমলে তাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল বলে দাবি অনেক কেএলও’র।পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষনা করেন প্রাক্তন কেএলও জঙ্গী এবং লিঙ্কম্যানদের চাকরি দেবেন।কেউ কেউ চাকুরি পেলেও অধিকাংশই এখনও বেকার। গত বছর লকডাউন এবং লকডাউনের পর থেকে আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে তাদের। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে চাকরির দাবিতে চলতি মাসের ১৯ তারিখ জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসুচী নিয়েছেন প্রাক্তন কেএলও এবং লিঙ্কম্যানেরা।এরপরেও কোনো সুরাহা না মিললে আমরন অনশন,পথ অবরোধ এমনকি বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হবেন বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন কেএলও সদস্যরা।

রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে কেএলও সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়।এদিনের বৈঠকে কেএলও দের এই কর্মসুচি থেকে সরে আসার জন্য বলেন পুলিশ কর্তারা। তবে চাকরি না পাওয়া অবধি তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।


কেএলও প্রাক্তণ সদস্য বিশ্বেশ্বর রায় জানান, এই চাকরির জন্য তারা বাইরেও কাজে যেতে পারছেন না।অন্যদিকে বয়স বেড়ে চলেছে।কিন্তু চাকরির বিষয়ে সরকারি আশ্বাসের খামতি নেই।এদিনের বৈঠকে পুলিশ কর্তা জানান আমাদের চাকরি হবে।তাই আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে বলেন পুলিশ কর্তারা।

কেএলও র প্রাক্তণ মহিলা  সদস্য জ্যোৎস্না রায় বলেন, এদিন পুলিশ কর্তা ডেকে আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে বললেও আমাদের চাকরি কবে হবে সেই বিষয়ে কোন আলোকপাত করতে পারেননি। কিন্তু পুলিশ কর্তাকে আমরা পরিস্কার জানিয়েছি আন্দোলন থেকে কোন আবস্থাতেই আমরা পিছু হটছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *