উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী, ঘোষণা করলেন ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পের

শিলিগুড়ি,২৯ সেপ্টেম্বরঃ আজ উত্তরকন্যায় আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই জেলার জেলাশাসক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।অন্যদিকে সরকারি কাজে কোনওপ্রকার গাফিলতি বরদাস্ত করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।


এদিকে প্রায় আট মাস পর উত্তরবঙ্গে সফরে এসেই আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির বন্ধ চা বাগানের কর্মীদের জন্য সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।উপহারস্বরূপ তাদের হাতে তুলে দিলেন ‘চা সুন্দরী’ নামক একটি প্রকল্প।এই প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩,৬৯৪টি পরিবার নতুন ঘর পেতে চলেছে।এই দুই জেলায় প্রায় ৭টি চা বাগান বন্ধ রয়েছে।এই বন্ধ চা বাগানগুলির কর্মীদের জন্যই এই প্রকল্প বলে জানা গিয়েছে।    

অন্যদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভুয়ো খবরগুলির বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের।পুলিশ আধিকারিকদের এই বিষয়ে কড়া নজর রাখতে বলেন তিনি।উদাহরণস্বরূপ মুখ্যমন্ত্রী জানান,কিছুদিন আগে মালদায় একটি মন্দির ভাঙার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।যা পুরোটাই ভুয়ো খবর ছিল।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের খবর প্রচারিত হওয়ার দরুন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।যা নিয়ে পুলিশকে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী এবং এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।


এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর সময় করোনা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
চিকিৎসাকর্মীদেরও সাবধানে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।পাশাপাশি করোনা টেস্টের রিপোর্ট যাতে দ্রুত আসে তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে উদ্বাস্তুদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রীবলেন,‘সেলফ্ ডিক্লারেশন সার্টিফিকেটেই সরকারি কাজ হবে।উদ্বাস্তুদের জন্যও এই সার্টিফিকেটই যথেষ্ট।অন্য কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না’।

পাশাপাশি সরকারি কাজে কোনওপ্রকার গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কাজে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।জোর করে কাজ আটকানো যাবে না। কারোর পেনশন আটকানো যাবে না।’

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন,এই নতুন কৃষি বিলের কারণে ভবিষ্যৎ-এ নানান সমস্যার সম্মুখীন হবেন কৃষকেরা।যে ফসল কৃষকেরা উৎপাদন করবেন সেই ফসলের ওপর কোনও অধিকার তাদের থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *