শিলিগুড়ি,২ জুলাইঃ আর দুমাস পরেই ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল মণিপুরে ভয়াবহ ধসে মৃত জওয়ান বিশাল ছেত্রীর।মিরিকের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।পরিবারে রয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা,স্ত্রী ও এক সন্তান।
শনিবার ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে তাঁর মৃতদেহ এসে পৌছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।তাঁর স্ত্রী করিশ্মা ছেত্রী বলেন,ফেব্রুয়ারিতে বাড়িতে এসেছিল।দুমাস পরে ছুটিতে বাড়ি আসার কথাও ছিল।গত বুধবার রাত ৯টা নাগাদ শেষবারের মতো বিশালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর।পরের দিন সকালে ডিউটি ছিল বিশালের।প্রায় একঘণ্টা ফোনে কথা বলার পর ঘুমোতে যান বিশাল।বৃহস্পতিবার ভোরে বিশালের মৃত্যুর খবর পায় তাঁর পরিবার।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে মণিপুরের ননি জেলার টুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ক্যাম্পের কাছে ভয়াবহ ধস নামে।এই মর্মান্তিক ঘটনায় টেরিটোরিয়াল আর্মির ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়।মৃতদের মধ্যে ১১ জন পাহাড় ও সমতলের জওয়ান রয়েছে।আজ ১১ জন জওয়ানের মরদেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছায়।সেখান থেকে জওয়ানদের দেহ ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়।