গজলডোবার অতিথি পাখিদের আনাগোটা, ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের-মুখে হাসি নৌকার মাঝিদের

গজলডোবা, ৩১ ডিসেম্বরঃ গজলডোবার অতিথি পাখিদের আনাগোটা।নৌকাবিহার করে পাখি সেই পরিযায়ী পাখিদের দেখতে পেয়ে খুশি পর্যাটকেরা।মুখে হাসি নৌকার মাঝিদের।


শীত শুরু হতেই দেশ-বিদেশ থেকে পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমিয়েছে রাজগঞ্জের গজলডোবায়। ইতিমধ্যে অনেক প্রজাতির পাখি চলে এসেছে গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজে।রাজ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র – ‘ভোরের আলোর’ পাশেই রয়েছে পাখি বিতান।বিশেষ করে শীতের মরসুমে পরিযায়ী পাখির উপস্থিতির জন্য ভোরের আলো আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

দক্ষিণ আফ্রিকা,সাইবেরিয়া সহ অন্যান্য দেশ থেকে এসে ভিড় জমিয়েছে এই পরিযায়ী পাখিরা।প্রতিবছর শীতের সময় বহু পর্যটক পরিযায়ী পাখিদের দেখতে আসেন।নৌকাবিহারের মাধ্যমেও পাখি দেখেন পর্যটকেরা।নৌকার মাঝিরাই পাখি চেনার গাইড হিসেবে কাজ করেন।ফলে পরিযায়ী পাখি দেখার পাশাপাশি পাখিগুলির প্রজাতি বা নামের সঙ্গেও পরিচিত হতে পারেন পর্যটকরা।


এদিন নৌকার মাঝিরা বলেন, শীত শুরু হতেই বহু প্রজাতির পরিযায়ী পাখিরা গজলডোবায় আসতে শুরু করেছে।নৌকাবিহারের মাধ্যমে পর্যটকেরা সেই পাখি দেখতে পান।অচেনা পাখিগুলো দেখতে পেয়ে খুব খুশিও হন। এই শীতের মরশুমে পাখিদের আনাগোনা বাড়ায় পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ে।যদিও কয়েকবছর ধরে পাখির পরিমাণ কম গিয়েছে।তবে আস্তে আস্তে ফের পাখি বাড়তে শুরু করেছে।শীতের মরশুমে পর্যটক বাড়ায় আমাদেরও বাড়তি কিছু রোজগার হয় বলে জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *