নদী পারাপারের সেতু নেই, সমস্যায় রাজগঞ্জের পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা

রাজগঞ্জ, ২৩ নভেম্বরঃ পাঁচ গ্রামের মানুষের নদী পারাপারের সেতু নেই।পাশের সিপিডব্লিউডি রাস্তায় সন্ধ্যার পরে চলাচল নিষিদ্ধ।সন্ধ্যার পরে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয় সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চতুরাগছ, জুম্মাগছ,দিলুগছ, কোয়ারবাড়ি ও নবগ্রাম গ্রামের বাসিন্দাদের।


রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই গ্রামগুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। গ্রামগুলিতে যাতায়াতের মূল রাস্তার মাঝে রয়েছে ডাহুক নদী।কিন্তু নদী পারাপারের জন্য সেতু নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কয়েক দশক থেকে সেতুর অভাবে ভুগছেন। গরমের মরসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনরকমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় তা করা যায় না।হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি সহ সব কাজেই ওই নদীর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।শিশু পড়ুয়া এবং রোগীকে কাঁধে করে নদী পার করতে হয়।তারা বলেন, এমনিতেই বেহাল কাঁচা রাস্তার জন্য যাতায়াতের সমস্যা হয়।তার থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে সেতু না থাকায়।সেতুর অভাব ও বেহাল রাস্তার কারণে গ্রামে ছেলে মেয়ের বিয়ের জন্য সম্মন্ধ করতে আসতে চায় না এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।


এই সমস্যার কথা এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছেও অজানা নয়।ভোটের সময় নেতারা সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।কিন্তু আজও সেতু তৈরি হয়নি।কয়েক দশক থেকে এই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তারা।রাজ্যের শাসন ক্ষমতার পালাবদল হলেও ডাহুক নদীতে সেতু হয়নি।

এই বিষয়ে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ওই বাঁশের সেতু কয়েকদিন আগে পরিদর্শন করেছি।খুব শীঘ্রই যাতে সেতু তৈরি করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *