শিলিগুড়ি, ১৩ ফেব্রুয়ারিঃ স্ত্রী নাকি শাখা সিঁদুর পরা বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি স্ত্রীয়ের পরকীয়া সম্পর্কও রয়েছে।এই সন্দেহেই শিলিগুড়িতে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। এরপরই স্ত্রীয়ের রক্তাক্ত দেহ নিয়ে গেল হাসপাতালে। শেষে পুলিশ খবর পেতেই অভিযুক্ত স্বামী সহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার বিকেলে শিলিগুড়ির এনজেপি থানা এলাকার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভক্তিনগরে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সুদীপ বৈশ্য। তাঁর সন্দেহ ছিল স্ত্রী সুপ্রিয়া বৈশ্যের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি তার অভিযোগ, স্ত্রী নাকি শাখা সিঁদুর পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল৷ ২০১৩ সালে দুজনের বিয়ে হয়৷ পালিয়ে বিয়ে করেছিল দুজন৷ কোচবিহারে থাকতো দম্পতি৷ কয়েক বছর আগে তারা শিলিগুড়িতে আসে৷
সুপ্রিয়ার পরিবারের দাবি, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করতো, মারধর করতো সুপ্রিয়াকে৷ শিলিগুড়িতে চলে আসার পরও তার স্বামী মারধর করতো৷ মাঝেমধ্যে বিছানায় চাকু নিয়ে ঘুমোতো সে। কয়েক মাস আগে ভক্তিনগর এলাকায় একটি বাড়িভাড়া নিয়ে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকতেন সুপ্রিয়া। তার স্বামী আসতো সেখানে৷ ঝামেলা হতো স্বামী স্ত্রীয়ের মধ্যে৷
রবিবার বিকেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেই বাড়িতে যায়৷এরপরই স্ত্রীকে চাকু দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে৷ খুনের পর স্ত্রীয়ের রক্তাক্ত দেহ একটি টোটোতে উঠিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত৷খবর পেয়ে এলাকায় যায় এনজেপি থানার পুলিশ৷ অভিযুক্ত স্বামী সহ প্রসেনজিৎ দাস এবং শ্যামল রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সোমবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে৷