শিলিগুড়ি, ২০ মার্চঃ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির অন্তর্গত শান্তিনিকেতন অ্যাপার্টমেন্টে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।মৃতার নাম পরমী দাস।মৃতা নকশালবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসকের স্ত্রী বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে পরমী দাস তাঁর মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এবং ছেলেকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে ঘরে ফেরে।এরপর তাঁর স্বামীও হাসপাতালে চলে যায়।সেইসময় পরমী ঘরে একা ছিলেন।কিছুক্ষণ বাদে বাড়ির পরিচারিকা এসে অনেকক্ষণ বেল বাজানোর পরও গেট না খোলায় আসেপাশের মানুষদের জানান পরিচারিকা।এরপরই তাঁর স্বামীকে খবর দেওয়া হয়।খবর পেয়ে তাঁর স্বামী পৌঁছে গেট খুলতেই স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।এরপরই খবর দেওয়া হয় মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশকে।পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এদিকে চিকিৎসকের স্ত্রীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুল্প বলেন, আজ দুপুরেই খবর পাই।ওই চিকিৎসকের স্ত্রী সবসময় হাসিখুশি থাকতেন।এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত।