পরকীয়া সন্দেহে খুন! উদ্ধার হল খুন হওয়া রেণুকা খাতুনের দুই টুকরো দেহ ও মাথা

শিলিগুড়ি, ৬ জানুয়ারিঃ পাওয়া গেল খুন হওয়া রেণুকা খাতুনের দেহ ও মাথা।


গত ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনির বাসিন্দা রেণুকা খাতুন নিখোঁজ হয়ে যায়।কিন্তু আসল ঘটনা জানা যায় প্রায় ১২ দিন পর।পরিবার শিলিগুড়ি থানায় নিখোঁজ অভিযোগ করতেই তদন্তে নামে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ।এরপরই রেণুকা খাতুনের স্বামী এমডি আনসারুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বুধবার থানায় ডাকা হয়।জিজ্ঞাসাবাদেই সে স্বীকার করে যে সে তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে।পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহেই স্ত্রীকে খুন করে সে।২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গোয়ালটুলি মোড়ের কাছে স্ত্রীকে নিয়ে যায় এবং সেখানেই স্ত্রীকে খুন করে দেহ দুই টুকরো করে।মাথাটি একটি বস্তায় ভরে ক্যানেলের জলে ফেলে দেয়।দেহটি আরেকটি বস্তায় ভরে ক্যানেলের জলে ফেলে দেয়।

বৃহস্পতিবার দেহের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।যদিও দেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।এরপরই ক্যানেলের জল কমানো হয়।শুক্রবার সকালেই বস্তাবন্দি মাথাহীন দেহটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।বিপর্যয় মোকাবিলা দল দেহটি উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া থানায় নিয়ে যায়।পরবর্তীতে মাথার সন্ধান পাওয়া যায়।ঘটনাস্থলে থেকে কিছুটা দূরেই চটের বস্তায় পাওয়া যায় রেনুকা খাতুনের মাথা।


অন্যদিকে ধৃত মহম্মদ আনসারুলকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *